বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোস্তাক মিয়া (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোস্তাক সিলেটে জেলার টুকের বাজারের বাসিন্দা। তিনি হবিগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন। মোস্তাক পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন।
মোস্তাকের এক সহকর্মী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মোস্তাক। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে দুপুর দেড়টায় জড়ো হয়। পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরাও সেখানে ছিল। পরে বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। একদিকে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অন্যদিক থেকে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুড়িয়ে দেন। এ সময় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের বাসার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা টাউন হল রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সিনেমা হল এলাকার বিএনপির একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মুবিন উদ্দি চৌধুরী জানান, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ঠিক কীসের আঘাতে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে।