বর্তমান আলো ডেস্কঃ ২৬ মার্চ ২০২৫ , ৩:২৩:১২ অনলাইন সংস্করণ
যদি মানুষের স্বভাব চরিত্র ভালো হয়, তবে বংশে কি আসে যায়। কিন্তু না, বংশ এবং উত্তম ব্যবহার দুইটাই যে প্রয়োজন একজন ভালো মানুষ হতে গেলে। আবার ফকির বংশের লোকজন যে ফকির নয়, কিংবা চৌধুরী বাড়ির সবাই যে জমিদার নয়, তেমন উদাহরণও এই সমাজে অহরহ রয়েছে। এ নিয়ে বিতর্কেরও যেন শেষ নেই। এমনই স্যাটায়ার কমেডি গল্প লিখলেন নাট্যকার ফরিদুল ইসলাম রুবেল। আর এই ফকিরা বংশ নাটকটির পরিচালনা করছেন মমিন সরকার।
অভিনয়ে রয়েছেন- তারিক স্বপন, আঁখি চৌধুরী, কাজী রাজু, সায়কা আহমেদ, ফরিদ হোসাইন, স্নিগ্ধা হোসাইন, এবি রশিদ, রিকি প্রমুখ।
নাট্যকার ফরিদুল ইসলাম রুবেল বলেন-জমিদার বাড়ির সবাই যেমন কালক্রমে জমিদার থাকে না, তেমনি ফকির লোকজনও ফকির থাকে না। এইটা আদৌতে একটি খানদানি বংশ। কিন্তু দুষ্টু লোকদের কি আর সেই খানদানির চৌকাঠে আটকানো যায়? আর সেই বিষয়টিই প্রকাশ পাবে নাটকটির মাধ্যমে।
পরিচালক মমিন সরকার বলেন-প্রচলিত জীবন ধারনের ক্ষেত্রে নানাবিধ অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে। তেমনই একটি ঘটনা নিয়ে ফকিরা বংশের গল্প। কেউ কেউ নাম শুনেই নাক ছিঁটকায়। কিন্তু, বাস্তবতা হলো এরা কেউ-ই ফকির নয়। সমাজের সেই চিত্রটিই তুলে ধরা হলো নাটকীয়তার মাধ্যমে।
গল্পে দেখা যায়Ñ মিন্টু গ্রামের প্রভাবশালীদের মধ্যে একজন হলেও তার নামের সাথে জুড়ে আছে ফকির শব্দ। কারণ তার বংশ হলো ফকিরের বংশ। গ্রামের কারও সাথে মিন্টু দেখা হলে তাকে ফকির বলে ডাকলে সে উত্তেজিত হয়ে যায়। তার এতো সুন্দর নাম থাকতে কিসের জন্য তাকে ফকির বলে ডাকতে হবে।
মিন্টুর জন্য পাত্রি দেখতে গেলে পাত্রিপক্ষ তার বংশ ফকিরের শোনে বিয়ে ক্যান্সেল করে দেয়। কারণ আর যাই হোক জেনে শোনে কোনো ফকিরের সাথে ভালো কোনো ঘরের মেয়ে বিয়ে হতে পারে না।
এভাবেই ফকিরা বংশের মজার মজার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনি।